১। এ জাতটির চাল সরু এবং গুনাগুন বালাম চালের মত বলে জাতটি সরু বালাম নামে পরিচিত।
২। জাতটি অধিক ফলনশীল।
৩। এ জাতের পাকা ধানের রং সোনালী।
৪। চালের আকার আকৃতি পাকিস্তানী বাসমতির মত লম্বা ও চিকন।
৫। চালে অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৫.০%।
৬। চালে প্রোটিনের পরিমাণ ৮.২%।
৭। ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২২.১ গ্রাম।
৮। এ জাতের ডিগ পাতা খাড়া ও লম্বা তাই এ ধান দেখতে খুব আকর্ষণীয় হয়।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বীজ তলায় বীজ বপন
: ১ অগ্রহায়ণ - ১ পৌষ (১৫ নভেম্বর - ১৫ ডিসেম্বর)
২ । চারার বয়স
: ৩৫-৪০ দিন।
৩ । চারার সংখ্যা
: প্রতি গুছিতে ২/৩ টি।
৪ । রোপন দুরত্ব
: ২০ x ১৫ সেন্টিমিটার
৫ । ইউরিয়া সার (কেজি/বিঘা)
: ৩৪.৫
৬ । টিএসপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১৩.৫
৭ । এমওপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১৬.০
৮ । জিপসাম সার (কেজি/বিঘা)
: ১৫.০
৯ । জিংক সালফেট সার (কেজি/বিঘা)
: ১.৫
১০ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: সর্বশেষ জমি চাষের সময় সবটুকু টিএসপি, এমওপি, জিংক সালফেট ও জিপসাম সার প্রয়োগ করা উচিত। ইউরিয়া সার সমান তিন কিস্তিতে যথা- রোপণের ১০-১৫ দিন পর ১ম কিস্তি, ২৫-৩০ দিন পর ২য় কিস্তি এবং ৪০-৪৫ দিন পর ৩য় কিস্তি প্রয়োগ করতে হবে।
১১ । আগাছা দমন
: রোপণের পর অন্তত ২৫-৩০ দিন পর্যন্ত জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
১২ । সেচ ব্যবস্থাপনা
: চাল শক্ত হওয়া পর্যন্ত প্রয়জনে সম্পূরক সেচ দিতে হবে।
১৩ । রোগ বালাই দমন
: ব্রি ধান৬৩ তে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ প্রচলিত জাতের চেয়ে অনেক কম হয়। তবে রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থা প্রয়োগ করা উচিত।
১৪ । ফসল পাকা ও কাটা
: ৩০ চৈত্র - ১১ জ্যৈষ্ঠ (১৩ এপ্রিল- ২৫ মে) ধান কাটার উপযুক্ত সময়। শীষের শতকরা ৮০ ভাগ ধান পেকে গেলে দেরি না করে ধান কেটে নেয়া উচিত।