১। ১. ব্রি ধান ৮৮ তে আধুনিক উফশী ধানের সকল বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। ২. এ জাতটি ব্রি ধান ২৮ এর চেয়ে খাটো এবং ঢলে পড়া সহিষ্ণু। ৩. ডিগপাতা খাড়া, লম্বা এবং ধান পাকার পরে সবুজ থাকে। ৪. চালের আকার আকৃতি মাঝারি চিকন ও ভাত ঝরঝরে। ৫. চালে অ্যামাইলেজের পরিমান ২৬.৩% এবং প্রোটিন ৯.৮%। ৬. ১০০০ টি পুষ্ট ধানের ওজন ২২.১ গ্রাম। ৭. জাতের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো শীষ থেকে ধান ঝরে পড়ে না।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বীজতলায় বীজ বপনঃ
: ০১-১৬ অগ্রহায়ণ (১৫-৩০ নভেম্বর)
২ । চারার বয়স ও রোপন দূরত্বঃ
: ৩৫-৪০ দিন বয়সী চারা ২৫×১৫ সে.মি. ব্যবধানে লাগাতে হবে।
৩ । চারার সংখ্যাঃ
: প্রতি গোছায় ২-৩ টি করে।
৪ । সার ব্যবস্থাপনাঃ (কেজি/বিঘা)
: ইউরিয়া- ৩৩ কেজি, টিএসপি- ১৩ কেজি, এমওপি- ২০ কেজি, জিপসাম- ১৫ কেজি, দস্তা (জিংক সালফেট)- ১.৫ কেজি।
৫ । আগাছা দমনঃ
: রোপনের ৪০-৪৫ দিন জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
৬ । সেচ ব্যবস্থাপনাঃ
: প্রয়োজন মাফিক সম্পূরক সেচ দিতে হবে। তবে এডব্লিউডি পদ্ধতি ব্যবহার করা উত্তম।
৭ । রোগ বালাই ও পোকামাকড় দমনঃ
: এ জাতে রোগের আক্রমণ অন্যান্য জাতের তুলনায় কম। তবে রোগ ও পোকামাকড়ের আক্রমণ দেখা দিলে অনুমোদিত বালাইনাশক অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করতে হবে।
৮ । ফসল কাটাঃ
: ২৫ চৈত্র থেকে ০৩ বৈশাখ (০৮-১৬ এপ্রিল) ধান কাটার উপযুক্ত সময়।
৯ । এ জাতের বিশেষ প্রয়োজনীয়তাঃ
: এ জাতের জীবনকাল ব্রি ধান ২৮ এর চেয়ে ৩-৪ দিন আগাম হওয়ায় হাওড় অঞ্চলে চাষাবাদ করা যেতে পারে। জাতটি ঢলে পড়া প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন ও শীষ থেকে ধান ঝরে পড়ে না বিধায় যন্ত্রের সাহায্যে ধান কাটা যেতে পারে।