কলা বীচি কলা


  • জাত এর নামঃ

    বীচি কলা

  • আঞ্চলিক নামঃ

    বাইস্যা কলা

  • অবমূক্তকারী প্রতিষ্ঠানঃ

    স্থানীয়

  • জীবনকালঃ

    ০ দিন

  • সিরিজ সংখ্যাঃ

  • উৎপাদন ( সেচ সহ ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ০ কেজি

  • উৎপাদন ( সেচ ছাড়া ) / প্রতি হেক্টরঃ

    ০ কেজি

  • জাত এর বৈশিষ্টঃ

    1. ১। বৃহত্তর ময়মনসিংহে প্রাপ্ত কলা প্রজাতির বিভিন্ন জাতের মধ্যে বীচি কলা সবচাইতে বড় এবং ওজনে বেশী । এটি অন্য কলার চাইতে মিষ্টি বেশী , কিন্তু বীচিবহুল । বীচির কারণে অনেকেই এই কলা পছন্দ করে না । কিন্তু দরিদ্রদের মধ্যে এটি খুবই প্রচলিত । মায়েরা পাকা কলা চটকিয়ে চালনিতে চেলে বীচি ছাড়িয়ে শিশুকে খাওয়ায় । লক্ষ্য করা যায়, দুধপোষ্য শিশুর চাইতে কলা খাওয়া শিশুদের স্বাস্থ্য কোন অংশেই কম নয় । ময়মনসিংহে সর্বত্র রাস্তার পাশে , গৃহস্থের বাড়ির আঙ্গিনায় সারি সারি যে কলাগাছ শোভা বর্ধন করে থাকে তার অধিকাংশই বীচি কলা বা বাইশ্যা কলার গাছ । প্রচলিত আছে , কাদিতে বাইশ হালি কলা ধরে বলে এর নাম বাইশ্যা কলা । এ কলার চারা একবার রোপণ করলে বংশ পরম্পরায় ভিটের জমি ও সড়কের দু’পাশ আঁকড়ে থাকে । কোন প্রকার সেবা পরিচর্যা ছাড়াই বারো মাস ফল দেয় । বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিখ্যাত কলার পিঠা বাইশ্যা কলার রস থেকে তৈরি হয়ে থাকে । দুধ- ভাতের সাথে এই কলা বিশেষ স্বাদ – গন্ধ আনে বলে অনেক গৃহস্থের বাড়িতে এটির বিশেষ কদর রয়েছে । এই কলার মোচা বা থোড় তরকারি রান্নায় সুস্বাদু বলে বাজারে এর দাম বেশী । দরিদ্র শিশুদের মধ্যে কলা তেতুলে ভর্তা করে খাবার প্রচলন দেখা যায় । এক সময় গৃহস্থের বাড়িতে এ কলা গাছের খোল রোদে শুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে ক্ষার তৈরি করা হতো । এই ক্ষার দিয়েই প্রতিমাসের কাপড়- চোপড় ধোয়া হতো । বিভিন্ন পার্বনে কলার পাতা ও খোলে দাওয়াত খাওয়ার প্রচলন রয়েছে । শুকনো কলার পাতা দিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় বেড়া দেয়ার প্রচলন এখনও গ্রামাঞ্চলে দেখা যায় । বিগত এক দশক ধরে আধুনিক উন্নত ও হাইব্রিড জাতের কলার চাষ হলেও পরম্পরার সাক্ষী হয়ে আঙ্গিনায় আজও টিকে আছে বাইশ্যা কলা ।

  • চাষাবাদ পদ্ধতিঃ