১। গাছ মধ্যম উচ্চতা সম্পন্ন ইন্টারমিডিয়ে টটাইপএবং গড়ে ৪-৭টি কান্ড থাকে। গাছ কিছুটা খাড়া প্রকৃতির ও শাখা প্রশাখা সংখ্যা মাঝারি।
২। কান্ড সবুজ মাঝারি ধরনের মোটা এবং এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুবই কম।
৩। পাতা মাঝারি আকারের ও কম ঢেউ খেলানো। পাতা মাঝারি সবুজএবং মধ্য শিরায় এন্থোসায়ানিন এর বিস্তৃতি খুবই কম।
৪। পত্রফলক মাঝারি আকারের ও চওড়া মাঝারি এবং পত্রফলকের উপরের দিকের মসৃণতা মাঝারি।
৫। মধ্য শিরায় উপপত্রের সংখ্যা মাঝারি। শীর্ষের পত্রফলকে উপপত্রের সংখ্যা খুবই কম। পার্শ্বের পত্রফলকে মাঝারি আকারের খুবই কম সংখ্যক উপপত্র দেখা যায়।
৬। আলু খাট ডিম্বাকৃতি, গোলাকার ও মাঝারি আকারের। আলুর চামড়ার মসৃণতা মাঝারি ও রং হলুদ, শাঁসের রং হালকা হলুদ। চোখ গভীরতা মাঝারি ও চোখ আলুতে সমভাবে বিন্যস্ত নয়।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । চাষের সময় ও সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: উপযোগী এলাকা : সমগ্র বাংলাদেশ।
বপনের সময় : মধ্য-কার্তিক থেকে মধ্য-অগ্রহায়ণ (নভেম্বর) মাসে আলু লাগানোর উপযুক্ত সময়।
মাড়াইয়ের সময়: ৯০-৯৫ দিন পর।
সার প্রয়োগ পদ্ধতিঃ গোবর (৮-১০ টন), অর্ধেক ইউরিয়া, টিএসপি, এমপি, জিপসাম ওজিংক সালফেট (প্রয়োজনবোধে) রোপনের সময় জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি ইউরিয়া রোপণের ৩০-৩৫ দিন পর অর্থাৎ দ্বিতীয় বার মাটি তোলার সময় প্রয়োগ করতে হবে। অমস্নীয় বেলে মাটির জন্য ৮০-১০০ কেজি/হেক্টর ম্যাগনেসিয়াম সালফেট এবং বেলে মাটির জন্য বোরন ৮-১০ কেজি/হেক্টর প্রয়োগ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।